Monday, March 12, 2012

স্বপ্নের সেই প্যারিস !!!!

প্যারিস ? এটা সম্পর্কে  কে না জানে ? যাক তবুও বলতেছি =
প্যারিস (ফরাসি ভাষায়: Paris পারি) ফ্রান্সের রাজধানী। শহরটি উত্তর ফ্রান্সে ইল-দ্য-ফ্রঁস অঞ্চলের প্রাণকেন্দ্রে সেন নদীর তীরে অবস্থিত। প্রশাসনিক সীমানার ভেতরে প্যারিসের প্রাক্কলিত জনসংখ্যা ২,২১৫,১৯৭। প্রশাসনিক সীমানা ছাড়িয়ে প্যারিসকে কেন্দ্র করে অবিচ্ছিন্নভাবে একটি সু-বৃহৎ নগর এলাকা গড়ে উঠেছে, যা প্যারিস "নগর এলাকা" (unité urbaine উ্যনিতে উ্যর্বেন) নামে পরিচিত; এই নগর এলাকায় প্রায় এক কোটি লোকের বসবাস। এই নগর এলাকা ও তার আশেপাশের প্যারিস-কেন্দ্রিক উপ-শহরগুলি মিলে প্যারিস এয়ার উ্যর্বেন বা প্যারিস মেট্রোপলিটান এলাকা গঠন করেছে, যার জনসংখ্যা ১ কোটি ২০ লক্ষ।ইউরোপের এ জাতীয় মেট্রোপলিটান এলাকাগুলির মধ্যে এটি অন্যতম বৃহৎ একটি এলাকা।
দুই হাজার বছরেরও বেশি ঐতিহ্যের অধিকারী এই নগরী বিশ্বের অন্যতম বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। রাজনীতি, শিক্ষা, বিনোদন, গণমাধ্যম, ফ্যাশন, বিজ্ঞান ও শিল্পকলা --- সব দিক থেকে প্যারিসের গুরুত্ব ও প্রভাব এটিকে অন্যতম বিশ্ব নগরীর মর্যাদা দিয়েছে।
ইল্‌-দ্য-ফ্রঁস্‌ তথা প্যারিস অঞ্চল ফ্রান্সের অর্থনীতির কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্র। ২০০৬ সালে এটি ফ্রান্সের মোট জাতীয় আয়ের এক-চতুর্থাংশেরও বেশি, ৫০০.৮ বিলিয়ন ইউরো (৬২৮.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার), উৎপাদন করে। প্যারিসের লা দেফঁস (La Défense) ইউরোপের বৃহত্তম পরিকল্পিত বাণিজ্যিক এলাকা। এবং এখানে ফ্রান্সের প্রধান প্রধান কোম্পানিরগুলির প্রায় অর্ধেক সংখ্যকের সদর দপ্তর। বিশ্বের বৃহত্তম ১০০টি কোম্পানির ১৫টির সদর দপ্তরের অবস্থান এই প্যারিসেই। এছাড়াও, প্যারিসে অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থার সদর দপ্তর রয়েছে; এদের মধ্যে আছে ইউনেস্কো, ওইসিডি, ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্স, কিংবা অ-প্রাতিষ্ঠানিক প্যারিস ক্লাব
বিশ্বের সবচেয়ে বেশীসংখ্যক পর্যটকের গন্তব্যস্থল প্যারিস; প্রতি বছর এখানে প্রায় ৩ কোটি বিদেশী ভ্রমণে আসেন। শহরটিতে অনেক উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে রয়েছে - আইফেল টাওয়ার, নোত্র্‌ দাম গির্জা, শঁজেলিজে সড়ক, আর্ক দ্য ত্রিয়োম্‌ফ, বাজিলিক দ্যু সক্রে ক্যর, লেজাভালিদ্‌, পন্তেওঁ, গ্রঁদ আর্শ, পালে গার্নিয়ে, ল্যুভ্র্‌, ম্যুজে দর্সে, ম্যুজে নাসিওনাল দার মোদের্ন ইত্যাদি।
 যাক অনেক বললাম । এবার একটি গল্প বলি = অপু সপ্ন দেখে বড় হয়ে অনেক টাকার মালিক হবে , তার জন্য দরকার ইউরোপ যাওয়া । তো অনেক কষ্টে সে দালালের সাথে যোগাযোগ করে ১০ লক্ষ টাকা খরচ করে সে একদিন ইটালি আসে । তার মা , বাবা , ভাই , বোন ,বন্দু  সকল কে ছেড়ে শুধু টাকা কামানোর জন্য এই ইউরোপ আসা ।ইটালি তে আসার পর সকলের কাছে শুনে যে ইটালি থেকে নাকি ফ্রান্স এ অনেক টাকা কামানো যায় , তাই সে ইটালি মাত্র ৮ দিন থেকে সে ফ্রান্স এর রাজদানি প্যারিস এ চলে আসে । ফ্রান্স এ বাংলাদেশী দের থাকতে হলে কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয় , যেমন = রাজনৈতিক সমস্যা দেখিয়ে এই দেশে যে কেও আশ্রয় এর আবেদন করতে পারে ।ফলে অপু অ ওইভাবে আশ্রয় এর আবেদন করে । এই আবেদন করলে প্রতি মাসে এই দেশের সরকার ওই আবেদন কারিকে বাসা + খাওয়া বাবদ ৩৪০ ইউরো দিয়া থাকে ।বি দ্র _ এখন এই সুযোগ নেই , কারন ফ্রাঞ্চ সরকার বাংলাদেশ কে শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে গশনা দিয়াছে।'''  আসার সাথে সাথে আবার অপু এই সুযোগ ছাইলে অ নিতে পারেনি কারন তার জন্য দরকার একটা গটনা যাদ্বারা তাকে প্রমান করতে হবে যে সে বাংলাদেশে একজন ক্ষতির অর্থাৎ তার জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই । তো সে নিজের ইচ্চামত একটা গটনা লিখে তা ফ্রান্স ভাসায় পরিবর্তন করে তা এই দেশের oppra নামক একটা  জায়গায় জমা দেয় । যার জন্য অনেক টাকার দরকার হয় । আসার পর থেকে এই পর্যন্ত করতে অপু র প্রায় ২ মাস সময় শেষ হয়ে যায় , ফলে তার অনেক টাকা ঋণ হয়ে যায় । ঋণ হলেও অপুর একটা সুবিদা ছিল তার একজন আত্মীয় প্যারিস এ থাকতো  সেই এই খরচ গুলা বহন করেছিল।যদিও অপু সেই টাকা গুলা পরে পরিসোদ করেছিল  । অপু আসলে জান্তনা যে সে ফ্রান্স এ এসে কি করবে অর্থাৎ কি কাজ করবে ? সব ঠিক  হল , অনেক রেস্টুরেন্ট গুরেও অপু কোন কাজের বেবস্থা করতে পারলনা । তো কি করবে অপু ? মাথার উপর ফ্রান্স এ তার আত্মীয় এর ঋণ , বাড়ীতে মা,বাবা, ভাই  এবং ১০ লক্ষ টাকার ঋণ !!!!! শুরু হল অপু এর চিন্তা , কি করবে সে ? যেইভাবে হওক তাকে টাকা ইঙ্কাম করতে হবে । সেই কাজ খুজার সময় দেখেচে এই খানে বাংলাদেশী দের অবস্থা । তাই সে তাদের অনুসরন করল । অপু অ নিজে রাস্তায় নেমে পড়লো । কিন্ত লাভ  ?  জীবনে সে যা কখনো চিন্তা অ করেনি এখন তাকে তা করতে হবে ? না কিছু করার নেই । বাড়ীতে তো যাওয়া অসম্বব তো  এই টা না করেও উপাই নেই । কিন্ত র কত ?সে রাস্তায় হকারি করে বেরায় পাশাপাশি কাজ খুজতে থাকে । কিন্ত সে জানে না তাকে কতদিন এই  হকারি করতে হবে । তবে সে জানে ফ্রান্স এর সিজর না থাকলে  কাজ পাবেনা । হকারি করতে গিয়া অপু অনেক পুলিশ এর দোর খায় , পুলিশ অপু কে পেলে তার সব মাল নিয়া চলে যায় । আর তখন অপু হাসে মনের দুঃখে যে , জীবনে কোনোদিন পুলিশ এর সামনা সামনি হয়নি আর এখন সেই অপু সারাদিন পুলিশ এর সাথে বসসবাস !!! হায় রে জীবন !! সুদু এতটুকু কষ্ট হলেও হত ! অপু কি জানত তার জন্য আরও কষ্ট অপেক্ষা করচে ?  অপু এর আর এখন সেই সরকারি ভাতা অ নেই কাজ অ নেই কিভাবে চলবে সে ? মাস শেষে বাসা বাড়া ১৫০ ইউরো + খাওয়া ১০০ ইউরো অন্যান্য ৮০ ইউরো এগুলা কথায় পাবে সে ? তার মা , বাবা , তাদের সেই সোনার চেলে অপুর এত বড় আশা , একদিন সে অনেক বড়লোক হবে , অনেক টাকা র মালিক হবে ,তার মা, বাবা, ভাই দের কে নিয়া সুখে শান্তিতে থাকবে । কথায় যাবে তার সেই সপ্ন ? আল্লাহ কি তার সেই সপ্ন পুরন করবে ? অপু কিন্ত আল্লাহ র প্রতি আস্থা আছে সেই একদিন তার কাঙ্খিত গন্তব্বে পোঁছে দিবে ।বি দ্র= আরও অনেক অনেক কষ্ট করতে হয় যা এখানে লিখে বুজানো সম্বব নয় ।এটা হচ্ছে প্যারিস এর বাস্তব চিত্র । যোগাযোগে = riazmirctg@yahoo.com<embed id="pingboxb03ko80vra0WW" type="application/x-shockwave-flash" src="http://wgweb.msg.yahoo.com/badge/Pingbox.swf" width="220" height="400" flashvars="wid=HwoWbO6pSmP5.0M_GkXkj3p_nSo-" allowScriptAccess="always" />

No comments:

Post a Comment