আমি " মিঠাচড়া উচ্চ বিদ্যালয় "থেকে "এস এস সি " , এবং " চট্টগ্রাম সরকারি বাণিজ্য কলেজ " থেকে " এইচ এস সি " । "" চট্রগ্রাম সরকারি টেকনিক্যাল ট্রেইনিং সেন্টার "" থেকে "" ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার "" । এবং "" চট্টগ্রাম সরকারি মহসিন কলেজ "" থেকে ম্যানেজমেন্ট এ " বি বি এ সম্পূর্ণ না করে ২০১০ এর অগাস্ট মাসে " ফ্রান্স "' এ চলে আসি । এখন ফ্রান্স এর প্যারিসে থাকি। আমার ইমেইল = riazmirctg@gmail.com
Monday, May 21, 2012
চুলকে খুশকি মুক্ত রাখতে চান?
চুলকে খুশকি মুক্ত রাখতে চান?
¤>- সপ্তাহে একদিন নারিকেল তেল হালকা গরম করে মাথার তালুতে সামান্য করে গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে মাথায় জড়িয়ে ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। গরম ভাপে খুশকি মাথার তালু থেকে উঠে আসবে। পরপর তিন সপ্তাহ করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
¤>- লেবুর রস খুশকি রোধে বেশ উপকারী। নারিকেল তেলে লেবুর রস মিশিয়ে মাথায় তালুতে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে শুধু পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলে পরদিন শ্যাম্পু করুন।
¤>- শ্যাম্পু করার পর এক মগ পানিতে একটি লেবুর রস মিশিয়ে চুল ধুয়ে নিলে খুশকি যেমন কম হবে, তেমনি চুল বেশ ঝকঝকে ও হালকা হবে।
¤>- পেঁয়াজের রস খুশকি প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা রাখে। একটি পেঁয়াজ থেঁতো করে রস চুলের গোড়ায় লাগান। সাবধান, চোখে যেন না পড়ে।
¤>- চুলে অন্তত সপ্তাহে একদিন নারিকেল তেল ব্যবহার করুন, যা চুলকে করে তুলে খুশকিমুক্ত।
¤>- মাথায় মানসম্পন্ন খুশকি প্রতিরোধক শ্যাম্পু ব্যবহার করুন, আপনার চুল হয়ে উঠবে আরও সুন্দর।
¤>- সপ্তাহে একদিন নারিকেল তেল হালকা গরম করে মাথার তালুতে সামান্য করে গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে মাথায় জড়িয়ে ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। গরম ভাপে খুশকি মাথার তালু থেকে উঠে আসবে। পরপর তিন সপ্তাহ করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
¤>- লেবুর রস খুশকি রোধে বেশ উপকারী। নারিকেল তেলে লেবুর রস মিশিয়ে মাথায় তালুতে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে শুধু পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলে পরদিন শ্যাম্পু করুন।
¤>- শ্যাম্পু করার পর এক মগ পানিতে একটি লেবুর রস মিশিয়ে চুল ধুয়ে নিলে খুশকি যেমন কম হবে, তেমনি চুল বেশ ঝকঝকে ও হালকা হবে।
¤>- পেঁয়াজের রস খুশকি প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা রাখে। একটি পেঁয়াজ থেঁতো করে রস চুলের গোড়ায় লাগান। সাবধান, চোখে যেন না পড়ে।
¤>- চুলে অন্তত সপ্তাহে একদিন নারিকেল তেল ব্যবহার করুন, যা চুলকে করে তুলে খুশকিমুক্ত।
¤>- মাথায় মানসম্পন্ন খুশকি প্রতিরোধক শ্যাম্পু ব্যবহার করুন, আপনার চুল হয়ে উঠবে আরও সুন্দর।
রহস্যঘেরা টাইটানিক
রহস্যঘেরা টাইটানিক
ইতিহাসের সবচেয়ে বিশাল এবং বিলাসবহুল জাহাজ হিসেবে টাইটানিকের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। ১৯১২ সালে জাহাজটি আশ্চর্যজনকভাবে ডুবে গেলেও আজ পর্যন্ত একে ঘিরে মানুষের আগ্রহ এতটুকু কমেনি।
টাইটানিক জাহাজের পূর্ণনাম RMS TITANIC (RMS-Royel Mail Ship)। এটি ছিল ব্রিটিশ শিপিং কোম্পানি হোয়াইট স্টার লাইনের মালিকানাধীন। এটি তৈরি করা হয় ইউনাইটেড কিংডম-এর বেলফাস্টের হারল্যান্ড ওলফ্ শিপইয়ার্ডে। জন পিয়ারপন্ট মরগান নামক একজন আমেরিকান ধনকুবের এবং ইন্টারন্যাশনাল মার্কেন্টাইল মেরিন কোং-এর অর্থায়নে ১৯০৯ সালের ৩১ মার্চ সর্বপ্রথম টাইটানিকের নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং তখনকার প্রায় ৭.৫ মিলিয়ন (বর্তমান প্রায় ১৬৫ মিলিয়ন) ডলার ব্যয়ে এর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয় ৩১ মার্চ ১৯১২ সালে। এর দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ৮৮২ ফুট দুই ইঞ্চি (প্রায় ২৬৯.১ মিটার) এবং প্রস্থ ছিল প্রায় ৯২ ফিট (২৮ মিটার)। এ জাহাজটির ওজন ছিল প্রায় ৪৬ হাজার ৩২৮ লং টন। পানি থেকে জাহাজটির ডেকের উচ্চতা ছিল ৫৯ ফুট (১৮ মিটার)।
এ জাহাজটি একই সঙ্গে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৫৪৭ জন প্যাসেঞ্জার ও ক্রু বহন করতে পারত। ব্যয়বহুল এবং চাকচিক্যের দিক থেকে তখনকার সব জাহাজকেই ছাড়িয়ে গিয়েছিল। টাইটানিকের ফার্স্ট ক্লাস যাত্রীদের জন্য বিলাসবহুল ডাইনিংয়ের ব্যবস্থা ছিল। সেখানে একই সঙ্গে ৫৫০ জন খাবার খেতে পারত। এছাড়াও এর অভ্যন্তরে ছিল সুদৃশ্য সুইমিং পুল, জিমনেসিয়াম, স্কোয়াস খেলার কোট, ব্যয়বহুল তুর্কিস বাথ, ব্যয়বহুল ক্যাফে এবং ফার্স্ট ক্লাস ও সেকেন্ড ক্লাস উভয় যাত্রীদের জন্য আলাদা বিশাল লাইব্রেরি। তখনকার সব আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটেছিল এ জাহাজটিতে। এর বৈদ্যুতিক ব্যবস্থাও ছিল খুবই উন্নত ধরনের। এ জাহাজের ফার্স্ট ক্লাসের জন্য তিনটি এবং সেকেন্ড ক্লাসের জন্য একটিসহ মোট চারটি লিফটের ব্যবস্থা ছিল।
জাহাজের ফার্স্ট ক্লাস যাত্রীদের জন্য সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্যাকেজটিতে আটলান্টিক একবার অতিক্রম করতেই ব্যয় করতে হতো তখনকার প্রায় ৪ হাজার ৩৫০ ডলার (যার বর্তমান মূল্য প্রায় ৯৫ হাজার ৮৬০ ডলার বা বর্তমান বাংলাদেশি টাকায় ৬৭ লাখ টাকারও বেশি)।
টাইটানিক প্রায় ৬৪টি লাইফবোট বহন করতে সক্ষম ছিল, যা প্রায় ৪০০০ লোক বহন করতে পারত। কিন্তু টাইটানিক আইনগতভাবে যত লাইফবোট নেওয়া দরকার তার চেয়ে বেশি ২০টি লাইফবোট নিয়ে যাত্রা করেছিল যা টাইটানিকের মোট যাত্রীর ৩৩% বা মাত্র ১ হাজার ১৭৮ জন যাত্রী বহন করতে পারত।
টাইটানিকের ক্যাপ্টেন ছিলেন বিশ্বজুড়ে 'নিরাপদ ক্যাপ্টেন', 'মিলিয়নিয়ার ক্যাপ্টেন' ইত্যাদি বিভিন্ন নামে খ্যাত এবং ১৫ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ইংল্যান্ডের রাজকীয় কমান্ডার এডওয়ার্ড জন স্মিথ। তার নেতৃত্বে টাইটানিক ১৯১২ সালের ১০ এপ্রিল ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
১৪ এপ্রিল ১৯১২ তারিখ রাতে নিস্তব্ধ সমুদ্রের তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রিরও কাছাকাছি নেমে যায়। আকাশ পরিষ্কার থাকলেও চাঁদ দেখা যাচ্ছিল না। সামনে আইসবার্গ (বিশাল ভাসমান বরফখণ্ড) আছে এ সংকেত পেয়ে জাহাজের ক্যাপ্টেন জাহাজের গতি সামান্য দক্ষিণ দিকে ফিরিয়ে দেন। সেদিনই দুপুর এবং বিকেলের দিকে দুটি ভিন্ন ভিন্ন জাহাজ থেকে রেডিওর মাধ্যমে যোগাযোগ করে টাইটানিকের সামনে বড় একটি আইসবার্গ আছে বলে সতর্ক করে দেয় টাইটানিককে। কিন্তু টাইটানিকের রেডিও অপারেটরদের অবহেলার কারণে এই তথ্য টাইটানিকের মূল যোগাযোগ কেন্দ্রে পেঁৗছায়নি। সেদিনই রাত ১১:৪০-এর সময় টাইটানিকের পথ পর্যবেক্ষণকারীরা সরাসরি টাইটানিকের সামনে সেই আইসবার্গটি দেখতে পায় কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। টাইটানিকের ফার্স্ট অফিসার মুর্ডক আকস্মিকভাবে বামে মোড় নেওয়ার অর্ডার দেন এবং জাহাজটিকে সম্পূর্ণ উল্টাদিকে চালনা করতে বা বন্ধ করে দিতে বলেন। তবুও টাইটানিককে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি। মোড় নিতেই ডানদিকের আইসবার্গের সঙ্গে প্রচণ্ড ঘষা খেয়ে চলতে থাকে টাইটানিক। ফলে টাইটানিকের প্রায় ৯০ মিটার অংশ জুড়ে চিড় দেখা দেয়।
জাহাজটি সর্বোচ্চ চারটি পানিপূর্ণ কম্পার্টমেন্ট নিয়ে ভেসে থাকতে পারত। কিন্তু ৫টি কম্পর্টমেন্ট পানিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় এর ওজনের কারণে জাহাজটি আস্তে আস্তে ডুবতে থাকে। ঘটনার আকস্মিকতায় ক্যাপ্টেন স্মিথ মূল নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রে আসেন এবং জাহাজটি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেন। ১৫ তারিখ মধ্যরাতের দিকে টাইটানিকের লাইফবোটগুলো নামানো শুরু হয়। টাইটানিক বিভিন্ন দিকে জরুরি বিপদ সংকেত পাঠিয়েছিল। যেসব শিপ সাড়া দিয়েছিল তারমধ্যে অন্যতম হলো মাউন্ট ট্যাম্পল, ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং টাইটানিকের সহোদর অলিম্পিক। টাইটানিকের নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র হতে দূরবর্তী একটি জাহজের আলো দেখা যাচ্ছিল যার পরিচয় এখনো রহস্যে ঘেরা।
রাত ০২:০৫-এর দিকে জাহাজের সম্পূর্ণ মাথাই পানির প্রায় কাছাকাছি চলে আসে। ০২:১০-এর দিকে প্রপেলারকে দৃশ্যমান করে দিয়ে জাহাজের পেছনের দিক উপরে উঠতে থাকে। ০২:১৭-এর দিকে জাহাজের সামনের দিকের ডেক পর্যন্ত পানি উঠে যায়। ওই মুহূর্তেই শেষ দুটি লাইফবোট টাইটানিক ছেড়ে যায় বলে এত বিস্তারিত জানা গেছে। জাহাজের পেছনের দিক ধীরে ধীরে আরো উপরের দিকে উঠতে থাকে। এসময় জাহাজের বিদ্যুতিক সিস্টেম বন্ধ হয়ে যায় এবং চারদিকে অন্ধকার হয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই ভারের কারণে টাইটানিকের পেছনের অংশ সামনের অংশ থেকে ভেঙে যায় এবং জাহাজের সম্মুখভাগ সম্পূর্ণরূপে পানির নিচে চলে যায়। বায়ুজনিত কারণে এ অংশটি কিছুক্ষণ ভেসে থাকার পর রাত ০২:২০-এর দিকে ধীরে ধীরে জাহাজের বাকি অংশটিও সমুদ্রের অতল গহ্বরে হারিয়ে যায়। টাইটানিক ত্যাগ করা লাইফবোটগুলোর মধ্যে মাত্র দুটি লাইফবোট আবার উদ্ধার কাজে ফিরে এসেছিল। দুটি লাইফবোট ৮-৯ জন যাত্রীকে উদ্ধার করে। ভোর ০৪:১০-এর দিকে কার্পেথিয়া জাহাজটি এসে পৌঁছয় এবং বেঁচে থাকাদের উদ্ধার করা শুরু করে। সকাল ০৮:৩০ মিনিটে জাহাজটি নিউইয়র্কের দিকে রওনা দেয়। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে খুব অল্পসংখ্যক মানুষই জীবিত ফিরে আসতে পেরেছে। টাইটানিক দুর্ঘটনায় অসংখ্য পরিবার তাদের একমাত্র উপার্জনকারীকে হারিয়েছিল। কেবলমাত্র সাউদাম্পটনের প্রায় ১০০০ পরিবার সরাসরিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
১৯১২ সালে ডুবে যাওয়া এ জাহাজটি সাইড স্ক্যান সোনার পদ্ধতিতে ১৯৮৫ সালে পুনরায় আবিষ্কার করা হয়। এর আগে টাইটানিককে পুনরাবিষ্কারের সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়। সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে প্রায় ১২৪৬৭ ফুট বা ৩৮০০ মিটার নিচে নীরবে সমাহিত হয়ে আছে টাইটানিক, হয়ত থাকবেও চিরদিন। বিজ্ঞানীরা নানা গবেষণার জন্য এখনো এ বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন। পানি আর বরফের প্রকোপে ডুবন্ত টাইটানিক আস্তে আস্তে ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ৫০ বছরের মধ্যেই টাইটানিক সাগরবক্ষে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন।
টাইটানিক সারা বিশ্বে এতটাই পরিচিতি পেয়েছিল যে, এর উপর ভিত্তি করে অসংখ্য প্রতিবেদন চিত্র এবং ছায়াছবি তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে জেমস ক্যামেরুনের ( JAMES CAMERON) 'টাইটানিক' ছবিটি রেকর্ড ২০০ মিলিয়নেরও অধিক টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়। সবাইকে অবাক করে দিয়ে সারা বিশ্বে টাইটানিক প্রায় ১ হাজার ৮৩৫ বিলিয়ন (১৮৩৫ মিলিয়ন) ডলার আয় করে এবং আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়ে ১১টি অস্কারসহ আরো অন্যান্য ৭৬টি পুরস্কার জিতে নেয়। টাইটানিক ডোবার ৮৫ বছর পরও এর প্রতি মানুষের আগ্রহ একটুও কমেনি ববং বহুগুণে বেড়েছে।
অনেকেরই ধারণা ছিল টাইটানিক জাহাজে কোনো অভিশাপ ছিল। এছাড়াও টাইটানিককে ঘিরে আরো অনেক গল্পের প্রচলন রয়েছে। যুগ যুগ ধরে অসংখ্য বিশেষজ্ঞ টাইটানিককে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন কিন্তু এরপরও টাইটানিক চিরকালই রহস্যের আড়ালে রয়ে গেছে।
ইতিহাসের সবচেয়ে বিশাল এবং বিলাসবহুল জাহাজ হিসেবে টাইটানিকের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। ১৯১২ সালে জাহাজটি আশ্চর্যজনকভাবে ডুবে গেলেও আজ পর্যন্ত একে ঘিরে মানুষের আগ্রহ এতটুকু কমেনি।
টাইটানিক জাহাজের পূর্ণনাম RMS TITANIC (RMS-Royel Mail Ship)। এটি ছিল ব্রিটিশ শিপিং কোম্পানি হোয়াইট স্টার লাইনের মালিকানাধীন। এটি তৈরি করা হয় ইউনাইটেড কিংডম-এর বেলফাস্টের হারল্যান্ড ওলফ্ শিপইয়ার্ডে। জন পিয়ারপন্ট মরগান নামক একজন আমেরিকান ধনকুবের এবং ইন্টারন্যাশনাল মার্কেন্টাইল মেরিন কোং-এর অর্থায়নে ১৯০৯ সালের ৩১ মার্চ সর্বপ্রথম টাইটানিকের নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং তখনকার প্রায় ৭.৫ মিলিয়ন (বর্তমান প্রায় ১৬৫ মিলিয়ন) ডলার ব্যয়ে এর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয় ৩১ মার্চ ১৯১২ সালে। এর দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ৮৮২ ফুট দুই ইঞ্চি (প্রায় ২৬৯.১ মিটার) এবং প্রস্থ ছিল প্রায় ৯২ ফিট (২৮ মিটার)। এ জাহাজটির ওজন ছিল প্রায় ৪৬ হাজার ৩২৮ লং টন। পানি থেকে জাহাজটির ডেকের উচ্চতা ছিল ৫৯ ফুট (১৮ মিটার)।
এ জাহাজটি একই সঙ্গে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৫৪৭ জন প্যাসেঞ্জার ও ক্রু বহন করতে পারত। ব্যয়বহুল এবং চাকচিক্যের দিক থেকে তখনকার সব জাহাজকেই ছাড়িয়ে গিয়েছিল। টাইটানিকের ফার্স্ট ক্লাস যাত্রীদের জন্য বিলাসবহুল ডাইনিংয়ের ব্যবস্থা ছিল। সেখানে একই সঙ্গে ৫৫০ জন খাবার খেতে পারত। এছাড়াও এর অভ্যন্তরে ছিল সুদৃশ্য সুইমিং পুল, জিমনেসিয়াম, স্কোয়াস খেলার কোট, ব্যয়বহুল তুর্কিস বাথ, ব্যয়বহুল ক্যাফে এবং ফার্স্ট ক্লাস ও সেকেন্ড ক্লাস উভয় যাত্রীদের জন্য আলাদা বিশাল লাইব্রেরি। তখনকার সব আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটেছিল এ জাহাজটিতে। এর বৈদ্যুতিক ব্যবস্থাও ছিল খুবই উন্নত ধরনের। এ জাহাজের ফার্স্ট ক্লাসের জন্য তিনটি এবং সেকেন্ড ক্লাসের জন্য একটিসহ মোট চারটি লিফটের ব্যবস্থা ছিল।
জাহাজের ফার্স্ট ক্লাস যাত্রীদের জন্য সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্যাকেজটিতে আটলান্টিক একবার অতিক্রম করতেই ব্যয় করতে হতো তখনকার প্রায় ৪ হাজার ৩৫০ ডলার (যার বর্তমান মূল্য প্রায় ৯৫ হাজার ৮৬০ ডলার বা বর্তমান বাংলাদেশি টাকায় ৬৭ লাখ টাকারও বেশি)।
টাইটানিক প্রায় ৬৪টি লাইফবোট বহন করতে সক্ষম ছিল, যা প্রায় ৪০০০ লোক বহন করতে পারত। কিন্তু টাইটানিক আইনগতভাবে যত লাইফবোট নেওয়া দরকার তার চেয়ে বেশি ২০টি লাইফবোট নিয়ে যাত্রা করেছিল যা টাইটানিকের মোট যাত্রীর ৩৩% বা মাত্র ১ হাজার ১৭৮ জন যাত্রী বহন করতে পারত।
টাইটানিকের ক্যাপ্টেন ছিলেন বিশ্বজুড়ে 'নিরাপদ ক্যাপ্টেন', 'মিলিয়নিয়ার ক্যাপ্টেন' ইত্যাদি বিভিন্ন নামে খ্যাত এবং ১৫ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ইংল্যান্ডের রাজকীয় কমান্ডার এডওয়ার্ড জন স্মিথ। তার নেতৃত্বে টাইটানিক ১৯১২ সালের ১০ এপ্রিল ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
১৪ এপ্রিল ১৯১২ তারিখ রাতে নিস্তব্ধ সমুদ্রের তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রিরও কাছাকাছি নেমে যায়। আকাশ পরিষ্কার থাকলেও চাঁদ দেখা যাচ্ছিল না। সামনে আইসবার্গ (বিশাল ভাসমান বরফখণ্ড) আছে এ সংকেত পেয়ে জাহাজের ক্যাপ্টেন জাহাজের গতি সামান্য দক্ষিণ দিকে ফিরিয়ে দেন। সেদিনই দুপুর এবং বিকেলের দিকে দুটি ভিন্ন ভিন্ন জাহাজ থেকে রেডিওর মাধ্যমে যোগাযোগ করে টাইটানিকের সামনে বড় একটি আইসবার্গ আছে বলে সতর্ক করে দেয় টাইটানিককে। কিন্তু টাইটানিকের রেডিও অপারেটরদের অবহেলার কারণে এই তথ্য টাইটানিকের মূল যোগাযোগ কেন্দ্রে পেঁৗছায়নি। সেদিনই রাত ১১:৪০-এর সময় টাইটানিকের পথ পর্যবেক্ষণকারীরা সরাসরি টাইটানিকের সামনে সেই আইসবার্গটি দেখতে পায় কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। টাইটানিকের ফার্স্ট অফিসার মুর্ডক আকস্মিকভাবে বামে মোড় নেওয়ার অর্ডার দেন এবং জাহাজটিকে সম্পূর্ণ উল্টাদিকে চালনা করতে বা বন্ধ করে দিতে বলেন। তবুও টাইটানিককে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি। মোড় নিতেই ডানদিকের আইসবার্গের সঙ্গে প্রচণ্ড ঘষা খেয়ে চলতে থাকে টাইটানিক। ফলে টাইটানিকের প্রায় ৯০ মিটার অংশ জুড়ে চিড় দেখা দেয়।
জাহাজটি সর্বোচ্চ চারটি পানিপূর্ণ কম্পার্টমেন্ট নিয়ে ভেসে থাকতে পারত। কিন্তু ৫টি কম্পর্টমেন্ট পানিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় এর ওজনের কারণে জাহাজটি আস্তে আস্তে ডুবতে থাকে। ঘটনার আকস্মিকতায় ক্যাপ্টেন স্মিথ মূল নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রে আসেন এবং জাহাজটি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেন। ১৫ তারিখ মধ্যরাতের দিকে টাইটানিকের লাইফবোটগুলো নামানো শুরু হয়। টাইটানিক বিভিন্ন দিকে জরুরি বিপদ সংকেত পাঠিয়েছিল। যেসব শিপ সাড়া দিয়েছিল তারমধ্যে অন্যতম হলো মাউন্ট ট্যাম্পল, ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং টাইটানিকের সহোদর অলিম্পিক। টাইটানিকের নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র হতে দূরবর্তী একটি জাহজের আলো দেখা যাচ্ছিল যার পরিচয় এখনো রহস্যে ঘেরা।
রাত ০২:০৫-এর দিকে জাহাজের সম্পূর্ণ মাথাই পানির প্রায় কাছাকাছি চলে আসে। ০২:১০-এর দিকে প্রপেলারকে দৃশ্যমান করে দিয়ে জাহাজের পেছনের দিক উপরে উঠতে থাকে। ০২:১৭-এর দিকে জাহাজের সামনের দিকের ডেক পর্যন্ত পানি উঠে যায়। ওই মুহূর্তেই শেষ দুটি লাইফবোট টাইটানিক ছেড়ে যায় বলে এত বিস্তারিত জানা গেছে। জাহাজের পেছনের দিক ধীরে ধীরে আরো উপরের দিকে উঠতে থাকে। এসময় জাহাজের বিদ্যুতিক সিস্টেম বন্ধ হয়ে যায় এবং চারদিকে অন্ধকার হয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই ভারের কারণে টাইটানিকের পেছনের অংশ সামনের অংশ থেকে ভেঙে যায় এবং জাহাজের সম্মুখভাগ সম্পূর্ণরূপে পানির নিচে চলে যায়। বায়ুজনিত কারণে এ অংশটি কিছুক্ষণ ভেসে থাকার পর রাত ০২:২০-এর দিকে ধীরে ধীরে জাহাজের বাকি অংশটিও সমুদ্রের অতল গহ্বরে হারিয়ে যায়। টাইটানিক ত্যাগ করা লাইফবোটগুলোর মধ্যে মাত্র দুটি লাইফবোট আবার উদ্ধার কাজে ফিরে এসেছিল। দুটি লাইফবোট ৮-৯ জন যাত্রীকে উদ্ধার করে। ভোর ০৪:১০-এর দিকে কার্পেথিয়া জাহাজটি এসে পৌঁছয় এবং বেঁচে থাকাদের উদ্ধার করা শুরু করে। সকাল ০৮:৩০ মিনিটে জাহাজটি নিউইয়র্কের দিকে রওনা দেয়। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে খুব অল্পসংখ্যক মানুষই জীবিত ফিরে আসতে পেরেছে। টাইটানিক দুর্ঘটনায় অসংখ্য পরিবার তাদের একমাত্র উপার্জনকারীকে হারিয়েছিল। কেবলমাত্র সাউদাম্পটনের প্রায় ১০০০ পরিবার সরাসরিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
১৯১২ সালে ডুবে যাওয়া এ জাহাজটি সাইড স্ক্যান সোনার পদ্ধতিতে ১৯৮৫ সালে পুনরায় আবিষ্কার করা হয়। এর আগে টাইটানিককে পুনরাবিষ্কারের সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়। সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে প্রায় ১২৪৬৭ ফুট বা ৩৮০০ মিটার নিচে নীরবে সমাহিত হয়ে আছে টাইটানিক, হয়ত থাকবেও চিরদিন। বিজ্ঞানীরা নানা গবেষণার জন্য এখনো এ বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন। পানি আর বরফের প্রকোপে ডুবন্ত টাইটানিক আস্তে আস্তে ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ৫০ বছরের মধ্যেই টাইটানিক সাগরবক্ষে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন।
টাইটানিক সারা বিশ্বে এতটাই পরিচিতি পেয়েছিল যে, এর উপর ভিত্তি করে অসংখ্য প্রতিবেদন চিত্র এবং ছায়াছবি তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে জেমস ক্যামেরুনের ( JAMES CAMERON) 'টাইটানিক' ছবিটি রেকর্ড ২০০ মিলিয়নেরও অধিক টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়। সবাইকে অবাক করে দিয়ে সারা বিশ্বে টাইটানিক প্রায় ১ হাজার ৮৩৫ বিলিয়ন (১৮৩৫ মিলিয়ন) ডলার আয় করে এবং আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়ে ১১টি অস্কারসহ আরো অন্যান্য ৭৬টি পুরস্কার জিতে নেয়। টাইটানিক ডোবার ৮৫ বছর পরও এর প্রতি মানুষের আগ্রহ একটুও কমেনি ববং বহুগুণে বেড়েছে।
অনেকেরই ধারণা ছিল টাইটানিক জাহাজে কোনো অভিশাপ ছিল। এছাড়াও টাইটানিককে ঘিরে আরো অনেক গল্পের প্রচলন রয়েছে। যুগ যুগ ধরে অসংখ্য বিশেষজ্ঞ টাইটানিককে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন কিন্তু এরপরও টাইটানিক চিরকালই রহস্যের আড়ালে রয়ে গেছে।
Sunday, May 20, 2012
লম্বা হতে চান?
লম্বা হতে চাই...লম্বা
হতে চাই...ছেলে বা মেয়ে সবার মনের বাসনা একই । যারা বেশ ভালো লম্বা
তাদেরও মনে হয় আরও ১-২ ইঞ্চি লম্বা হতে পারলে বেশ ভাল মানাত! আসলে আমরা
কতটুকু লম্বা হবো তা আমাদের বংশগতি থেকেই নির্ধারিত হয়। তবে একথাও ঠিক
আমাদের পূর্বপুরুষেরা লম্বা হলেও আমরা যদি অপুষ্টিতে ভূগি তবে আমাদের
বৃদ্ধি ঠিকমত হবে না।আর মানুষের দেহের বৃদ্ধি ঘটে ২৫ বছর বয়স পর্যন্তই।
তাই কিশোরকাল থেকেই এ ব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনটি জিনিসের সমন্বয়
লম্বা হতে সাহায্য করবে-
১.পুষ্টিকর খাবার
২.নিয়মিত ব্যায়াম
৩.পর্যাপ্ত বিশ্রাম
কী কী থাকতে হবে খাবার তালিকায়:
মিনারেলস:
পর্যাপ্ত পরিমান বিভিন্ন রকমের মিনারেল আমাদের খাবার তালিকায় রাখতে হবে। আমাদের দেহে প্রতিটি কাজে মিনারেলের ভূমিকা রয়েছে ।হাড়ের গঠন ও বৃদ্ধিতে মিনারেল একান্ত প্রয়োজনীয় উপাদান। বিষেশভাবে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস যেন পরিমাণ মত গ্রহণ করা হয় তা লক্ষ্য রাখতে হবে। দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, ছোট মাছ, খেজুর, বাধাকপি, ফুলকপি, ব্রোকলি, পালং শাক, পুই শাক ইত্যাদিতে ক্যালসিয়াসম আছে। দুগ্ধজাত খাবার, মাছ, মাংস, এমনকি সবজিতেও ফসফরাস রয়েছে। আয়রন পাওয়া যায় খেজুর, ডিমের কুসম, কলিজা, গরুর মাংসে। ম্যাগনেসিয়াম আছে আপেল, জাম্বুরা, ডুমুর, লেবু ইত্যাদিতে। জিন্ক পাওয়া যায় ডিম, সূর্যমূখীর বীচিতে।
ভিটামিন:
আমাদের প্রয়োজনীয় সব রকমের ভিটামিনই বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি ও ফল থেকে পাওয়া যায়।কিন্তু খাবারের ভিটামিন দেহে কতটুকু গৃহিত হচ্ছে তা বোঝা বেশ কঠিন। তাই বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি ও ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ভিটামিন-বি১ আছে চীনা বাদাম, লাল চাল,গমে। ভিটামিন-বি২ আছে মাছ, ডিম, দুধে। ভিটামিন-বি৬ রয়েছে বাধাকপি, কলিজা, গরুর মাংসে। ভিটামিন-ডি পাওয়া যায় মাছের তেল, দুগ্ধজাত খবার থেকে। ভিটামিন-ই আছে ডিম, সয়াবিন, গমে।
ভিটামিন-এ আছে ডিমের কুসুম, গাজর, দুধ ও কলিজায়।
প্রোটিন:
হাড়ের বৃদ্ধির সাথে সাথে মাংসপেশীরও বৃদ্ধি পেতে হবে লম্বা হওয়ার জন্য। আর মাংস পেশির বৃদ্ধি ও মজবুত হওয়ার জন্য প্রয়োজন প্রোটিন। খাবার তালিকায় ভাল মানের প্রোটিন যেমন- মাছ, মাংস, ডিম রাখুন। বিভিন্ন রকমের ডাল, মটরশুটি, সীমের বীচি, কাঠালের বীচি ইত্যাদি থেকেও প্রোটিন পাওয়া যায়। খাবার তালিকায় সয়া প্রোটিন, বিভিন্ন রকমের প্রোটিন সেইক যোগ করতে পারেন।
কার্বোহাইড্রেট:
অনেকেই লম্বা হওয়ার জন্য কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে গ্রহণ করে থাকেন। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে, বেশি পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট লম্বা হওয়াকে বাধাগ্রস্থ করে। কারণ অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ মানে রক্তে অতিরিক্ত গ্লুকোজ। এর ফলে ইনসুলিন নামক হরমোনও নিঃসৃত হবে বেশি। ইনসুলিন দেহের গ্রোথ হরমনের কার্যকারীতা কমিয়ে দেয়। তাই খাবার তালিকায় লাল আটা, লাল চাল, ওট ইত্যাদি রাখুন ময়দা, সাদা আটা, পলিশ চালের পরিবর্তে।
পানি:
পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান করতে হবে, কম হলেও ২ লিটার প্রতিদিন।
যেসব কারণে লম্বা হওয়া বাধা পায়:
মদ্যপান ও ধূমপানসহ সব ধরণের মাদকের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। কারণ এগুলো দেহের হরমোনের ব্যালান্স নষ্ট করে।
১.পুষ্টিকর খাবার
২.নিয়মিত ব্যায়াম
৩.পর্যাপ্ত বিশ্রাম
কী কী থাকতে হবে খাবার তালিকায়:
মিনারেলস:
পর্যাপ্ত পরিমান বিভিন্ন রকমের মিনারেল আমাদের খাবার তালিকায় রাখতে হবে। আমাদের দেহে প্রতিটি কাজে মিনারেলের ভূমিকা রয়েছে ।হাড়ের গঠন ও বৃদ্ধিতে মিনারেল একান্ত প্রয়োজনীয় উপাদান। বিষেশভাবে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস যেন পরিমাণ মত গ্রহণ করা হয় তা লক্ষ্য রাখতে হবে। দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, ছোট মাছ, খেজুর, বাধাকপি, ফুলকপি, ব্রোকলি, পালং শাক, পুই শাক ইত্যাদিতে ক্যালসিয়াসম আছে। দুগ্ধজাত খাবার, মাছ, মাংস, এমনকি সবজিতেও ফসফরাস রয়েছে। আয়রন পাওয়া যায় খেজুর, ডিমের কুসম, কলিজা, গরুর মাংসে। ম্যাগনেসিয়াম আছে আপেল, জাম্বুরা, ডুমুর, লেবু ইত্যাদিতে। জিন্ক পাওয়া যায় ডিম, সূর্যমূখীর বীচিতে।
ভিটামিন:
আমাদের প্রয়োজনীয় সব রকমের ভিটামিনই বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি ও ফল থেকে পাওয়া যায়।কিন্তু খাবারের ভিটামিন দেহে কতটুকু গৃহিত হচ্ছে তা বোঝা বেশ কঠিন। তাই বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি ও ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ভিটামিন-বি১ আছে চীনা বাদাম, লাল চাল,গমে। ভিটামিন-বি২ আছে মাছ, ডিম, দুধে। ভিটামিন-বি৬ রয়েছে বাধাকপি, কলিজা, গরুর মাংসে। ভিটামিন-ডি পাওয়া যায় মাছের তেল, দুগ্ধজাত খবার থেকে। ভিটামিন-ই আছে ডিম, সয়াবিন, গমে।
ভিটামিন-এ আছে ডিমের কুসুম, গাজর, দুধ ও কলিজায়।
প্রোটিন:
হাড়ের বৃদ্ধির সাথে সাথে মাংসপেশীরও বৃদ্ধি পেতে হবে লম্বা হওয়ার জন্য। আর মাংস পেশির বৃদ্ধি ও মজবুত হওয়ার জন্য প্রয়োজন প্রোটিন। খাবার তালিকায় ভাল মানের প্রোটিন যেমন- মাছ, মাংস, ডিম রাখুন। বিভিন্ন রকমের ডাল, মটরশুটি, সীমের বীচি, কাঠালের বীচি ইত্যাদি থেকেও প্রোটিন পাওয়া যায়। খাবার তালিকায় সয়া প্রোটিন, বিভিন্ন রকমের প্রোটিন সেইক যোগ করতে পারেন।
কার্বোহাইড্রেট:
অনেকেই লম্বা হওয়ার জন্য কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে গ্রহণ করে থাকেন। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে, বেশি পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট লম্বা হওয়াকে বাধাগ্রস্থ করে। কারণ অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ মানে রক্তে অতিরিক্ত গ্লুকোজ। এর ফলে ইনসুলিন নামক হরমোনও নিঃসৃত হবে বেশি। ইনসুলিন দেহের গ্রোথ হরমনের কার্যকারীতা কমিয়ে দেয়। তাই খাবার তালিকায় লাল আটা, লাল চাল, ওট ইত্যাদি রাখুন ময়দা, সাদা আটা, পলিশ চালের পরিবর্তে।
পানি:
পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান করতে হবে, কম হলেও ২ লিটার প্রতিদিন।
যেসব কারণে লম্বা হওয়া বাধা পায়:
- ঘুমের অভাব- দৈনিক ৮ ঘন্টা ঘুমের অভ্যাস তৈরি করুন
- খেলা-ধূলা না করা-বাস্কেট বল, ভলিবল খেলার অভ্যাস গড়ে তুলুন
- দড়ি লাফের মতো সাধারণ ব্যায়াম শুরু করুন
- অপুষ্টি-পুষ্টিকর ও সুষম খাবার অভ্যাস গড়ে তুলুন
- দেহের কোনো অংশে অসঙ্গতি থাকলে, ফিজিওথেরাপিষ্টের সাহায্য নিতে হবে
মদ্যপান ও ধূমপানসহ সব ধরণের মাদকের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। কারণ এগুলো দেহের হরমোনের ব্যালান্স নষ্ট করে।
Tuesday, May 8, 2012
এক নজরে আমাদের মীরসরাই উপজেলা :
আয়তন : ৪৮২.৮৮ বর্গ কিলোমিটার
জনসংখ্যা : ৩৬৮,৯৫০ জন
ক) পুরুষ-৪৯.০৯%
খ) মহিলা -৫০.৩৭%
গ) মুসলিম-৮৫.০৯%
ঘ) হিন্দু-১৩.১২%
ঙ) অন্যান্য-১.৬৯%
লোক সংখ্যার ঘনত্ব ঃ ৭৬৪ জন ( প্রতি বর্গ কিলোমিটারে)
নির্বাচনী এলাকা : ২৭৮, চট্টগ্রাম-১, মীরসরাই ।
খানা/ইউনিয়ন : ৬৯,১৮৪ পরিবার
ইউনিয়ন : ১৬ টি
পৌরসভা : ২টি
মৌজা : ১১৩টি
শিক্ষার হার : ৫২.০১%
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় : ১৪৫ টি
সর: রে: প্রা: বি: : ২৩ টি
কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় : ১৪টি
বেসরকারী আন রে: প্রা: বি: : ১২টি
কেজি স্কুল : ১২টি
মাদ্রাসা : ২৪টি
স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা : ১৬টি
বেসরকারী ডিগ্রী কলেজ : ৩টি
ইন্টারমিডিয়েট কলেজ : ২টি
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ- ০১টি
মসজিদ : ৫২০টি
মন্দির : ২৬টি
প্যাগোডা : ০৯টি
চার্চ : ০৪টি
উপজেলা /আভ্যন্তরীন যোগযোগ ব্যবস্থা:
ক) পাকা রাস্তা- ০১১৩.৩০কি:মি:
খ) আধাপাকা- ০১০৮ কি:মি:
গ) কাঁচা- ১০৭২.৬০ কি:মি:
খাদ্য গুদাম : ০২টি
মিলনায়তন : ০১টি ( উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন )
রেজিষ্টার্ড ক্লাব/সংগঠন : ৯৩টি
পাবলিক লাইব্রেরী : ১টি(জেলা পরিষদ কর্তৃক পরিচালিত)
রেল ষ্টেশন : ৪টি
টেলিফোন এক্সচেঞ্জ : ০১টি
পোষ্ট অফিস : ৩০টি
হাটবাজার : ৩৪টি
ব্যাংক : ২৪ টি
সরকারী হাসপাতাল : ১টি ( ৫০ শয্যা বিশিষ্ট)
স্বাস্থ্য কেন্দ্র/ক্লিনিক : পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র- ১৬টি, ইউনিয়ন সাব সেন্টার- ১১টি, কমিউনিটি
ক্লিনিক- ১৮টি, বেসরকারী ক্লিনিক- ০৩টি ।
রেজিষ্টার্ড এতিমখানা : ১৬টি
অফিসার্স ক্লাব ঃ ০১টি
প্রেস ক্লাব : ০১টি
পত্রিকা : পাক্ষিক খবরিকা, মাসিক চলমান মীরসরাই, মাসিক মীরসরাই
ডাক বাংলো : জেলা পরিষদ কর্তৃক পরিচালিত- ০১টি, বন বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত- ০১টি
বেসরকারী এনজিও সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত ০২টি ।
আদিবাসী : করেরহাট, মীরসরাই, খৈয়াছরা ও ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের পাহাড়ী
এলাকার প্রায় ১২০০ ত্রিপুরা নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠি পরিবার বসবাস করে ।
পানীয় জল সংক্রান্ত : প্রায় ৯০% এলাকায় পানীয় জলে মাত্রারিক্ত আর্সেনিক ও আয়রন রয়েছে ।
ইলিশ প্রজনন কেন্দ্র : এ উপজেলার সাগর উপকুলে সাহেরখালি ও হাইতকান্দি পয়েন্টে অবস্থিত
নদ-নদী : ফেনী নদী ও মুহুরী নদী ।
উপজেলা ভূমি অফিস ঃ এ অফিসের আওতায় ০২ টি আদর্শগ্রাম রয়েছে, যাতে ৮০ টি পরিবারকে
পূনর্বাসন করা হয়েছে। ০১ টি আশ্রয়ণ প্রকল্প ও ০৩ টি আবাসন প্রকল্প রয়েছে, যাতে মোট ৫৬০টি
পরিবারকে পূনর্বাসন করা হয়েছে। মোট ০৬ টি বালু মহাল রয়েছে। তম্মধ্যে ০৩ টি বালু মহাল
জেলা হতে ইজারা প্রদান করা হয়েছে এবং অপর ০৩টি বালু মহাল ইজারা না হওয়ায় খাস
কালেকশন করা হচ্ছে। উক্ত উপজেলা ভূমি অফিসের আওতায় ০৮ টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের
মাধ্যমে ২০০৯-১০ অর্থ বছরে সাধারণ খাতে দাবীর পরিমান ১৯,৯১,৬৮০/= টাকা এবং এ পর্যন্ত
আদায়ের পরিমান ৬,২১,৭৪০/= টাকা এবং সংস্থা খাতে দাবীর পরিমান ৮০,৭৩,১৫৫/= টাকা
এবং এ পর্যন্ত আদায়ের পরিমান ৬১,১৬৯/= টাকা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ঃ এ অফিসের আওতায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে উপবৃত্তি প্রদান
কার্যক্রম চালু আছে। ২০০৯-১০ অর্থ বছরে এখনও বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। ২০১০ সালে বিনামূল্যে
বই বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ঃ এ অফিসের আওতায় মোট ১৪৫ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৩ টি
বেসরকারী ও রেজিঃ প্রাঃ বিদ্যালয় এবং ১৪ টি কমিউনিটি প্রাঃ বিদ্যালয়ে ২০০৯ শিক্ষা বর্ষে
৫৫,২১৬ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত রয়েছে। মোট ১১০১ জন শিক্ষকের মধ্যে ১০৪০ জন শিক্ষক
কর্মরত রয়েছে। ৬১ জন শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।
উপবৃত্তি সংক্রান্ত তথ্য ঃ মোট ১৭৯ টি সুবিধাভোগী বিদ্যালয়ে সর্বমোট ১৫,১৪০ জন সুবিধাভোগী
শিক্ষার্থীকে বর্তমান শিক্ষাবর্ষে উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে।
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা সংক্রান্ত তথ্য ঃ ২০০৯ শিক্ষা বর্ষ হতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা
আরম্ভ করা হয়েছে। এ বছর মোট ৫৪০৬ জন শিক্ষার্থী সমাপনী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে ও
৪৮০০ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। পাশের হার ৮৯%।
উপজেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরঃ এর আওতায় ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে ০৬ টি উচ্চ বিদ্যালয়ে উন্নয়ন কাজ
চলছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে ৪৪ লক্ষ টাকা করে মোট ২.৬৪ কোটি টাকার কাজ চলছে। কাজের
অগ্রগতি ৮৫%।
উপজেলা মৎস্য অফিস ঃ এ অফিসের আওতায় ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে ৫০৪ জন লোককে প্রশিক্ষণ প্রদান
প্রদান পূর্বক দারিদ্র বিমোচন প্রকল্পের আওতায় ৬.১১ লক্ষ টাকা এবং মৎস্য খাতে ক্ষুদ্র ঋণ
প্রকল্পের আওতায় ১.৪০ লক্ষ টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা পশু সম্পদ অফিস ঃ এ অফিসের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন ছাগল উন্নয়ন কর্মসূচীর আওতায় ৬৬ জন
কে ৩.৭৫ লক্ষ টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছে।
ক্ষুদ্র ঋণ তহবিল প্রকল্পের আওতায় ৪৫ জনকে ২.৬০ লক্ষ টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছে।
হাঁস/মুরগী পালন প্রকল্পের আওতায় ১২ জনকে ২.০০ লক্ষ টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছে।
পশুসম্পদ উন্নয়ন আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে দারিদ্র দূরীকরণ প্রকল্পের আওতায় ১৩১ জনকে
৮.৩৭ লক্ষ টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছে। ঋণ আদায় কার্যক্রম সন্তোষজনক।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরঃ এ অফিসের মাধ্যমে ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে ০২ টি গভীর নলকুপ এবং
৩২ টি অগভীর নলকুপ বরাদ্দ পাওয়া গিয়েছে। মীরসরাই উপজেলা ৮৫% স্যানিটেশনের আওতায়
এসেছে। মীরসরাই উপজেলায় আর্সেনিক এর মাত্রা ৩৯.৭৭% এবং অর্সেনিক রোগীর সংখ্যা
৪০ জন। আর্সেনিক এর ভয়াবহতা থেকে রক্ষার জন্য মীরসরাই উপজেলায় ৫০০০ টি গভীর
নলকুপ বসানো প্রয়োজন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকা্রঃ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট মস্তাননগর হাসপাতালে ০৭ জন ডাক্তারের পদ শূন্য রয়েছে।
জেনারেটর ও বিশুদ্ধ পানীয় জলের তীব্র সংকট রয়েছে। তাছাড়া টেলিফোন ও গ্যাস সংযোগ অতীব
প্রয়োজন ।
riazmirctg@yahoo.com.
Subscribe to:
Posts (Atom)